
টয়লেটে ফোন ব্যবহার: পাইলসের ঝুঁকি বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা
রাহুল একজন ব্যস্ত তরুণ, ঢাকার একটি আইটি ফার্মে কাজ করে। প্রতিদিন সকালে টয়লেটে বসে তার স্মার্টফোনে সোশ্যাল মিডিয়া চেক করা তার অভ্যাস। খবর পড়া, বন্ধুদের মেসেজের উত্তর দেওয়া, এমনকি ইমেইল চেক করা—সবই টয়লেটে বসে।
কখনো কখনো ১০-১৫ মিনিট কেটে যায়, তবুও সে উঠতে ভুলে যায়। সম্প্রতি, রাহুল মলদ্বারে অস্বস্তি, চুলকানি, এবং হালকা ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেছে। ডাক্তারের কাছে গিয়ে জানল, এটা পাইলস বা হেমোরয়েড হতে পারে।
ডাক্তার জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি টয়লেটে অনেকক্ষণ বসে থাকো? ফোন ব্যবহার করো?” রাহুল অবাক হয়ে বলল, “হ্যাঁ, কিন্তু এর সঙ্গে পাইলসের কী সম্পর্ক?” ডাক্তার তাকে বললেন, একটি নতুন গবেষণা দেখিয়েছে, টয়লেটে ফোন ব্যবহার পাইলসের ঝুঁকি ৪৬% বাড়িয়ে দেয়।
রাহুলের এই গল্প আমাদের অনেকের জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। আমরা কি জানি, এই ছোট অভ্যাস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে? চলুন, এই গবেষণার বিস্তারিত জেনে নিই এবং কীভাবে আমরা নিজেদের সুস্থ রাখতে পারি, তা বুঝে নিই।
টয়লেটে ফোন ব্যবহারের অভ্যাস
টয়লেটে বসে কিছু পড়া বা সময় কাটানো নতুন কিছু নয়। ঔপনিবেশিক আমলে মানুষ সংবাদপত্র ব্যবহার করত টয়লেটে পড়ার জন্য, এমনকি পরিষ্কার করার জন্যও। কিন্তু আজকের যুগে স্মার্টফোন এই অভ্যাসকে একেবারে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়া, খবর, ইমেইল, গেম—একবার ফোন হাতে নিলে সময় কীভাবে কেটে যায়, টেরই পাওয়া যায় না।
কিন্তু এই অভ্যাস কি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
একটি নতুন গবেষণা বলছে, টয়লেটে ফোন ব্যবহার পাইলস বা হেমোরয়েডের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়। এই নিবন্ধে আমরা এই গবেষণার বিস্তারিত, পাইলস কী, কেন এটি হয়, এবং কীভাবে আমরা এটি প্রতিরোধ করতে পারি, তা জানব।
পাইলস কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
পাইলস, যাকে হেমোরয়েড বা বাংলায় অর্শ বলা হয়, হলো মলদ্বার এবং নিম্ন মলাশয়ের রক্তনালী, মসৃণ পেশি, এবং সংযোগকারী টিস্যুর সমষ্টি। আমাদের সবার শরীরেই এই কাঠামো থাকে, যা মলত্যাগকে সহজ করে।
কিন্তু যখন এই টিস্যুগুলো ফুলে যায় বা রক্তপাত হয়, তখনই আমরা এটাকে পাইলস বলি। এটি একটি সাধারণ সমস্যা, যা ব্যথা, চুলকানি, এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর প্রায় ৪০ লাখ মানুষ পাইলসের জন্য ডাক্তারের কাছে যান বা জরুরি বিভাগে ভর্তি হন। বাংলাদেশেও এটি একটি পরিচিত সমস্যা, যদিও এটি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা কম হয়।
পাইলস সম্পর্কে আমাদের জানাশোনা এখনো সীমিত। যুক্তরাষ্ট্রে শেষ জাতীয় জরিপ হয়েছিল ১৯৮৯ সালে, এবং তারপর থেকে এই বিষয়ে তেমন বড় আকারের গবেষণা হয়নি। তবে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, অতিরিক্ত চাপ, দীর্ঘ সময় মলত্যাগ, বা ঘন ঘন মলত্যাগ পাইলসের কারণ হতে পারে। এই নিবন্ধে আমরা জানব, কীভাবে টয়লেটে ফোন ব্যবহার এই সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
গবেষণার ফলাফল: টয়লেটে ফোন ব্যবহার ও পাইলসের সম্পর্ক
২০২৪ সালে সান ডিয়েগো, ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত ডাইজেস্টিভ ডিজিজেস উইক (DDW) সম্মেলনে একটি নতুন গবেষণা উপস্থাপন করা হয়। বোস্টনের বেথ ইসরায়েল ডেকোনেস মেডিকেল সেন্টারের গবেষক ত্রিশা সত্য পাসরিচা এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন।
গবেষণায় ১২৫ জন অংশগ্রহণকারী ছিলেন, যারা কোলনোস্কোপি করাতে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে ৪০% এর বেশি মানুষের পাইলস ধরা পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে:
- ৯৩% অংশগ্রহণকারী সপ্তাহে অন্তত একবার টয়লেটে ফোন ব্যবহার করেন।
- যারা টয়লেটে ফোন ব্যবহার করেন, তাদের পাইলসের ঝুঁকি ৪৬% বেশি।
- অংশগ্রহণকারীদের বয়স, লিঙ্গ, শরীরের ওজন, ব্যায়ামের অভ্যাস, বা খাদ্যে ফাইবারের পরিমাণ এই ফলাফলের ওপর কোনো প্রভাব ফেলেনি।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে:
- ৫০% খবর পড়েন।
- ৪৪% সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটান।
- ৩০% ইমেইল বা টেক্সট মেসেজ করেন।
কিছু অংশগ্রহণকারী বলেছেন, তারা প্রতিবার টয়লেটে ৬ মিনিটের বেশি সময় কাটান, এবং অনেকে মনে করেন, স্মার্টফোনের কারণে তারা বেশি সময় বসে থাকেন।
কেন টয়লেটে ফোন ব্যবহার পাইলসের ঝুঁকি বাড়ায়?
পাইলসের প্রধান কারণ হলো মলদ্বার এবং মলাশয়ের রক্তনালীতে অতিরিক্ত চাপ। দীর্ঘ সময় টয়লেটে বসে থাকলে এই চাপ বাড়ে। গবেষকরা মনে করেন:
- দীর্ঘ সময় বসা: টয়লেটে বসে থাকলে মলদ্বারের রক্তনালীগুলো দুর্বল হয় এবং ফুলে যায়। স্মার্টফোন আমাদের মনোযোগ সরিয়ে নেয়, ফলে আমরা বেশি সময় বসে থাকি।
- অতিরিক্ত চাপ: দীর্ঘ সময় মলত্যাগের চেষ্টা করলে রক্তনালীতে চাপ পড়ে, যা পাইলসের ঝুঁকি বাড়ায়।
- বিক্ষিপ্ত মনোযোগ: ফোন ব্যবহারের সময় আমরা মলত্যাগের প্রক্রিয়ায় মনোযোগ দিই না, যা সময় বাড়িয়ে দেয়।
একটি পুরনো গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের পাইলস আছে, তারা টয়লেটে বেশি সময় পড়াশোনা করেন, তুলনায় যাদের পাইলস নেই। স্মার্টফোন এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে, কারণ এটি আমাদের মনোযোগকে অনেক বেশি আকর্ষণ করে।
এই গবেষণার সীমাবদ্ধতা
এই গবেষণাটি ছোট আকারের, মাত্র ১২৫ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর ভিত্তি করে। তাই এটি শুধু সম্পর্ক (করেলেশন) দেখায়, কারণ প্রমাণ করে না। টয়লেটে ফোন ব্যবহার সরাসরি পাইলস সৃষ্টি করে কিনা, তা নিশ্চিত করতে আরও বড় গবেষণা দরকার। তবে এই গবেষণা একটি সম্ভাব্য ঝুঁকির দিকে আলোকপাত করেছে।
এছাড়া, পাইলস নিয়ে আমাদের তথ্য এখনো সীমিত। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৮৯ সালের জরিপ ছাড়া এই বিষয়ে বড় কোনো জাতীয় তথ্য নেই। বাংলাদেশে এই সমস্যা নিয়ে পরিসংখ্যান আরও কম। তাই এই গবেষণা আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা।
পাইলসের লক্ষণ ও প্রভাব
পাইলস বা হেমোরয়েডের কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:
- মলদ্বারে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া।
- মলত্যাগের সময় ব্যথা বা অস্বস্তি।
- মলদ্বারের কাছে ফোলা বা শক্ত গাঁট।
- মলের সঙ্গে রক্তপাত, যা সাধারণত উজ্জ্বল লাল হয়।
এই লক্ষণগুলো জীবনের মানকে ব্যাহত করতে পারে। অনেকে এই সমস্যা নিয়ে লজ্জাবোধ করেন, ফলে ডাক্তারের কাছে যেতে দেরি করেন। কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা না নিলে পাইলস আরও জটিল হতে পারে।
টয়লেটে সময় কমানোর পরামর্শ
গবেষণা এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, টয়লেটে বেশি সময় বসে থাকা পাইলসের ঝুঁকি বাড়ায়। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:
- কিছু ডাক্তার বলেন, টয়লেটে ১০ মিনিটের বেশি বসা উচিত নয়।
- অন্যরা বলেন, ৩ মিনিটের বেশি সময় বসা এড়ানো উচিত।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের পাইলস আছে, তারা টয়লেটে বেশি সময় কাটান, তুলনায় যাদের এই সমস্যা নেই। তাই টয়লেটে সময় সীমিত রাখা জরুরি।
টয়লেটে ফোন ব্যবহারের ঝুঁকি: বিশেষজ্ঞদের মতামত
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টয়লেটে ফোন ব্যবহার আমাদের “টয়লেট হাইজিন” নষ্ট করতে পারে। ২০২৪ সালের একটি গবেষণায় গবেষকরা লিখেছেন:
ফোন আমাদের মনোযোগ সরিয়ে নেয়, ফলে আমরা মলত্যাগের প্রক্রিয়ায় মন দিই না। এটি শুধু পাইলসের ঝুঁকিই বাড়ায় না, বরং টয়লেটের পরিচ্ছন্নতার সমস্যাও তৈরি করতে পারে। ফোনের পর্দায় জীবাণু জমতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
পাইলস প্রতিরোধের উপায়
পাইলস বা হেমোরয়েড প্রতিরোধে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যায়। এখানে কিছু ব্যবহারিক পরামর্শ দেওয়া হলো:
পদক্ষেপ | কীভাবে করবেন |
---|---|
টয়লেটে সময় কমান | টয়লেটে ফোন বা পড়ার জিনিস নিয়ে যাবেন না। ৩-৫ মিনিটের মধ্যে মলত্যাগ শেষ করার চেষ্টা করুন। |
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার | শাকসবজি, ফল, এবং গোটা শস্য খান। এটি মল নরম করে এবং মলত্যাগ সহজ করে। |
পর্যাপ্ত পানি পান | দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। |
নিয়মিত ব্যায়াম | হাঁটা, যোগ, বা হালকা ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং পাইলসের ঝুঁকি কমায়। |
মলত্যাগে জোর না দেওয়া | মলত্যাগের জন্য অতিরিক্ত চাপ দেবেন না। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। |
এই পদক্ষেপগুলো আপনার দৈনন্দিন জীবনে সহজেই অন্তর্ভুক্ত করা যায়। বিশেষ করে টয়লেটে ফোন ব্যবহার বন্ধ করা পাইলস প্রতিরোধে একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে।
বাস্তব জীবনের উদাহরণ: যেভাবে অভ্যাস বদলাতে হয়
ফিরে যাই রাহুলের গল্পে। ডাক্তারের পরামর্শে রাহুল টয়লেটে ফোন ব্যবহার বন্ধ করেন। তিনি টয়লেটে একটি ছোট ঘড়ি রাখেন, যাতে ৫ মিনিটের বেশি না বসেন। এছাড়া, তিনি তার খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ান—প্রতিদিন সকালে ওটস, দুপুরে শাকসবজি, এবং সন্ধ্যায় ফল খান। তিনি দিনে ৩০ মিনিট হাঁটেন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তার পাইলসের অস্বস্তি কমে যায়, এবং তিনি অনেক বেশি সুস্থ বোধ করেন।
অন্য একটি উদাহরণ হলো সুমি, একজন গৃহিণী। তিনি টয়লেটে সোশ্যাল মিডিয়া দেখতেন, যা তাকে অনেক সময় বসিয়ে রাখত। পাইলসের সমস্যা হওয়ার পর তিনি ফোনের বদলে একটি বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করেন, কিন্তু টয়লেটে কিছুই নিয়ে যান না। এখন তিনি ৩-৪ মিনিটে মলত্যাগ শেষ করেন, এবং তার পাইলসের সমস্যা অনেক কমেছে।
টয়লেটে ফোন ব্যবহারের বিকল্প
যদি টয়লেটে ফোন ব্যবহার আপনার অভ্যাস হয়ে থাকে, তাহলে এটি বন্ধ করতে কিছু বিকল্প চেষ্টা করতে পারেন:
- মনোযোগ ধ্যান: টয়লেটে বসে গভীর শ্বাস নিন এবং শরীরের সংকেতের দিকে মনোযোগ দিন। এটি মলত্যাগ দ্রুত করতে সাহায্য করবে।
- টাইমার সেট করা: ফোনে একটি টাইমার সেট করুন ৩-৫ মিনিটের জন্য, যাতে বেশি সময় না বসেন।
- অন্য সময়ে ফোন ব্যবহার: সোশ্যাল মিডিয়া বা ইমেইল চেক করার জন্য নির্দিষ্ট সময় রাখুন, যেমন সকালে বা বিকেলে।
- পড়ার অভ্যাস: যদি পড়তে চান, তাহলে টয়লেটের বাইরে বই বা ম্যাগাজিন পড়ুন।
এই বিকল্পগুলো আপনাকে ফোনের আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে এবং পাইলস প্রতিরোধে সুস্থ অভ্যাস গড়তে সাহায্য করবে।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ
বাংলাদেশে পাইলস বা হেমোরয়েড নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা কম হয়। অনেকে এটাকে লজ্জার বিষয় মনে করেন, ফলে সময়মতো চিকিৎসা নেন না। কিন্তু এটি একটি সাধারণ সমস্যা, এবং এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। টয়লেটে ফোন ব্যবহারের অভ্যাস আমাদের আধুনিক জীবনধারার একটি অংশ হয়ে উঠেছে, কিন্তু এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের সমাজে সচেতনতা বাড়ানো দরকার, যাতে মানুষ এই অভ্যাস বদলাতে উৎসাহিত হয়।
এছাড়া, আমাদের খাদ্যাভ্যাসও পাইলসের সমস্যার সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশে অনেকে ফাইবার কম খান, যা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পাইলসের ঝুঁকি বাড়ায়। ডাল, শাকসবজি, এবং ফল আমাদের খাবারে বেশি করে যোগ করা দরকার।
সুস্থ থাকার জন্য ছোট পদক্ষেপ
টয়লেটে ফোন ব্যবহার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি সাধারণ অভ্যাস, কিন্তু এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। নতুন গবেষণা দেখিয়েছে, এই অভ্যাস পাইলস বা হেমোরয়েডের ঝুঁকি ৪৬% বাড়িয়ে দেয়।
দীর্ঘ সময় টয়লেটে বসে থাকা, ফোনের দিকে মনোযোগ দেওয়া, এবং মলত্যাগে অতিরিক্ত চাপ দেওয়া এই সমস্যার প্রধান কারণ। তবে ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা এই ঝুঁকি কমাতে পারি। টয়লেটে ফোন ব্যবহার বন্ধ করুন, সময় সীমিত রাখুন, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান, এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
রাহুল এবং সুমির গল্প আমাদের দেখায়, অভ্যাস বদলানো কঠিন নয়। পরের বার যখন আপনি টয়লেটে যাবেন, ফোনটি বাইরে রেখে যান। মলত্যাগকে আপনার প্রথম অগ্রাধিকার দিন, সোশ্যাল মিডিয়া নয়। এই ছোট পদক্ষেপ আপনাকে পাইলস থেকে দূরে রাখবে এবং সুস্থ ও সুখী জীবন দেবে।
লেখাটি ভালো লেগে থাকলে আমাকে ফেসবুকে অনুসরণ করতে পারেন। এছাড়াও আমি টুইটারে এবং ইন্সটাগ্রামে সক্রিয় আছি।
মন্তব্য করুন