ভার্জিন শব্দের অর্থ কী?
রিপোর্টপ্রশ্ন
অনুগ্রহ করে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করুন কেন আপনি মনে করেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিত।
প্রশ্ন: ভার্জিন শব্দের অর্থ কী?
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit.Morbi adipiscing gravdio, sit amet suscipit risus ultrices eu.Fusce viverra neque at purus laoreet consequa.Vivamus vulputate posuere nisl quis consequat.
উত্তর ( 1 )
অনুগ্রহ করে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করুন কেন আপনি মনে করেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিত।
সঠিক উত্তর: ভার্জিন শব্দের অর্থ নিচে বিশ্লেষণ করা হলো।
ভূমিকা
ছোটবেলা অনেকেই ‘ভার্জিন’ শব্দটি শুনে অনেক কৌতূহল হতেন। বড়দের জিজ্ঞাসা করতে লজ্জা পেতেন, আবার জানার আগ্রহও ছিল। তখন ইন্টারনেট এতো সহজলভ্য ছিল না, তাই গুগলে সার্চ দেওয়ারও সুযোগ ছিল না। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে ‘ভার্জিন’ শব্দের অর্থ হয়ত জানতে পারেননি। আজকের এই প্রশ্ন আমি ‘ভার্জিন’ শব্দের অর্থ ও এর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব।
ভার্জিন শব্দের উৎপত্তি
‘ভার্জিন’ শব্দটি ইংরেজি ‘Virgin’ থেকে এসেছে, যা গ্রীক ও ল্যাটিন শব্দ ‘virgo’ থেকে উদ্ভূত। প্রাচীন গ্রীক মিথোলজিতে ‘virgo’ শব্দটি দেবীদের সম্মোধন করতে ব্যবহৃত হতো। আমরা জানি যে দেব দেবীরা নিষ্পাপ ও পবিত্র বলে বিবেচিত হতো। তেমনি এক গ্রীক দেবী ‘ডায়ানা’ কুমারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
ভার্জিন মানে কী?
ইংরেজি ‘Virgin’ শব্দের বাংলা অর্থ হল:
১. কুমারী মেয়ে
২. অব্যবহৃত বা আদিম অবস্থায় বিদ্যমান
৩. অপ্রহত বা অনাহত
ভার্জিন অর্থ কী?
‘ভার্জিন’ শব্দের অর্থ হল কুমারী, অর্থাৎ এমন কেউ যিনি কখনো যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হননি। সহজভাবে বললে, ভার্জিন হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি কখনো শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হননি।
ভার্জিনিটি কী?
ভার্জিনিটি বা কুমারীত্ব হল সেই অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি কখনো যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হননি। এটি প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়েদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রাচীন কাল থেকে ভার্জিনিটি সব সমাজেই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। বিশেষত মুসলিম সমাজে এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। পশ্চিমা সমাজে এর গুরুত্ব কিছুটা কম হলেও এটি একদম উপেক্ষা করা হয় না। হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মে ভার্জিনিটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
কুমারীত্ব বিচার
ভার্জিনিটি নির্ধারণে সাধারণত ‘সতীচ্ছদ’ বা ‘হাইমেন’ পর্দাকে বিবেচনা করা হয়। অবিবাহিত মেয়েদের যোনীর প্রবেশমুখে থাকা এই পর্দা সাধারণত প্রথম যৌনসম্পর্কের সময় ছিঁড়ে যায়। যদিও কিছু শারীরিক কার্যকলাপ বা দুর্ঘটনার কারণে সতীচ্ছদ পর্দা ছিঁড়ে যেতে পারে, তবুও মূলত এটি প্রথম যৌনসম্পর্কের সময় ছিঁড়ে থাকে।
কারা ভার্জিন?
প্রত্যেক ছেলে-মেয়ে জন্মের পরে ভার্জিন থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় অনেকেই ভার্জিনিটি হারায়। দূর থেকে দেখে কেউ ভার্জিন কি না তা নির্ধারণ করা কঠিন। অবিবাহিত সবাইকে ভার্জিন ধরে নেওয়াই যুক্তিসঙ্গত।
ভার্জিন মেয়ে চেনার উপায়
ভার্জিন মেয়ে চেনার অন্যতম উপায় হল প্রথম যৌনসম্পর্কের সময় সতীচ্ছদ পর্দা ছিঁড়ে যাওয়া। এছাড়া প্রথমবার যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হলে যোনী শক্ত থাকতে পারে এবং ব্যথা অনুভব হতে পারে।
ভার্জিন ছেলে চেনার উপায়
ছেলেদের ক্ষেত্রে ভার্জিনিটি নির্ধারণ করার কোনও নির্দিষ্ট উপায় নেই। তবে প্রথমবার যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হলে ছেলেদের মধ্যে নার্ভাসনেস, দ্রুত বীর্যপাত ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যেতে পারে।
উপসংহার
এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা ‘ভার্জিন’ শব্দের অর্থ এবং ভার্জিনিটির গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারলাম। যারা তাদের ভার্জিনিটি ধরে রেখেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। যারা ইতোমধ্যে হারিয়েছেন তাদের জন্য সমবেদনা। প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য এটি একটি ব্যক্তিগত বিষয় এবং আমাদের উচিত একে সম্মান করা।
আরো জানুন: রাসেল’স ভাইপার কী?