বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতন
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়রেখা
কোটাপ্রথা নিয়ে এবারের আন্দোলন হলো দ্বিতীয় দফা আন্দোলন। মূল আন্দোলন শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে আন্দোলন থেমে যায়। পরে আদালতের এক রায়ের পরে দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু হয় ২০২৪ সালের জুন থেকে। এরপর তা ক্রমান্বয়ে সহিংস রূপ নেয়। এ অবস্থায় সরকার সব ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয় ১৭ জুলাই। ফলে বন্ধ থাকে অনলাইন সংবাদমাধ্যমসহ সকল যোগাযোগ মাধ্যম। আন্দোলনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত যা যা ঘটেছে, তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

৩১ জানুয়ারী, ২০১৮
সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা বাতিল করে পুনর্মূল্যায়ন চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও দুই সাংবাদিকের পক্ষে রিট দায়ের করা হয়েছে।
আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন রিট দায়ের করে উল্লেখ করেন, ১৯৭২ সালে এক নির্বাহী আদেশে সরকারি, বেসরকারি, প্রতিরক্ষা, আধা সরকারি এবং জাতীয়করণ করা প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা ও ১০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য কোটা প্রবর্তন করা হয়।
পরে বিভিন্ন সময়ে কোটায় সংস্কার ও পরিবর্তন করা হয়। বর্তমানে সব মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ কোটা বিদ্যমান, ফলে যাঁরা কোনো কোটায় পড়েন না, তাঁদের প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে বাকি ৪৪ শতাংশের জন্য।